_লেখকের নিজ অভিজ্ঞতাপ্রসূত এই কল্পকাহিনীতে ক্যাডেট কলেজের মতো একটি ভিন্নধর্মী প্রতিষ্ঠানের কিশোরদের ঘটনাবহুল জীবনযাপনের একটি চিত্র পাওয়া যাবে। এই কিশোর-উপন্যাসে লেখক কোনো একক বা সরলরৈখিক ঘটনাক্রমের বর্ণনা দিতে চাননি, বরং একটি চরিত্রের বরাত দিয়ে, খণ্ড খণ্ড ঘটনাবলীর বর্ণনার মাধ্যমে, একটি সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। ফলে এই গল্পের শুরু থাকলেও শেষ থাকেনি। আপাতভাবে এটি ক্যাডেটদের ভিন্নধর্মী জীবনের হাসি-কান্না, চাপল্য-উত্তেজনায় ঠাসা আধা-সামরিক জীবনের নির্মোহ চিত্রায়ণ মনে হলেও, গল্পের শেষ দিকটায় ক্যাডেট কলেজের সীমিত গণ্ডির বাইরের রাষ্ট্রিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে রূপক আকারে লেখক হাজির করতে চেয়েছেন। ফলে গল্পটি শেষ পর্যন্ত কেবল বেড়ালের দেশে ইঁদুরের টিকে থাকার প্রচেষ্টার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, ঘটনাক্রমের বৃহত্তর দিকমাত্রা ধারণ করার চেষ্টা করেছে। গল্পের প্রেক্ষাপট আশির দশক ধরতে হবে; তাই এখানে মোবাইল ফোনের বদলে চিঠি গল্পের অনুষঙ্গ আকারে এসেছে। তবে রাজনৈতিক রূপকতার অংশটি সাম্প্রকিতায় প্রাসঙ্গিক হবে।
পৃথিবীলোক ।। গাজী তানজিয়া
জাতিস্মর ।। গাজী তানজিয়া
_১৯৩০ সালের এক বিকেলে নৌকাবাইচের উৎসবস্থল থেকে জমিদারের লাঠিয়াল জোর করে তুলে নিয়ে যায় খুশবুকে। সে ছিল একজন স্বাধীনতাকামী তরুণ বিপ্লবীর বাকদত্তা। অন্যদিকে ১৯২০/২১ সালের পর গা-ঢাকা দেয়া বিপ্লবী সংগঠনগুলোর কর্মীরা ১৯২৮ সাল পরবর্তী সময়ে আবার ধুমায়িত হচ্ছিল দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দেয়ার দুর্দান্ত নেশায়। চট্টগ্রামে স্কুল শিক মাস্টারদা সূর্যসেনের নেতৃত্বে সংগঠিত হচ্ছিল একদল টগবগে তরুণ। একদিকে সাম্রাজ্যবাদীদের দোসরদের হাতে বন্দি প্রেমিকা অন্যদিকে দেশ। এই দুইয়ের টানাপোড়েনে এগিয়ে চলেছে ইতিহাসভিত্তিক রোমান্টিক উপন্যাস জাতিস্মর। যার ঘটনার পরতে পরতে উঠে এসেছে দেশি-বিদেশি না না চরিত্র এবং একই সঙ্গে দ্বন্দ, লোভ, প্রেম ও ষড়যন্ত্রের না না রঙ ছড়িয়েছে এসব চরিত্রেরা। উপন্যাসটি সিটি-আনন্দআলো সাহিত্য পুরষ্কার ২০১০- এ ভূষিত হয়।
ফেস বাই ফেস ।। মাহবুব মোর্শেদ
বইটা সম্পর্ক নিয়ে। মানুষে মানুষে সম্পর্ক। খুব পুরনো জিনিশ। এ নিয়ে লেখা সহজ। এটি আকর্ষণীয় বিষয়ও বটে। কারণ সম্পর্কের সকল রহস্য এখনও মানুষ ভেদ করতে পারেনি। শহরবাসী মধ্যবিত্তের সম্পর্ক বিষয়ক যোগাযোগ জটিলতা আমার প্রিয় বিষয়। এই নিয়ে লিখতে গিয়ে উপন্যাসে ফেসবুক ঢুকে পড়েছে। লক্ষ করলাম, শেষ পর্যন্ত ফেসবুক একটা বড় চরিত্র হয়ে এক জটাজালে উপন্যাসটাকে বেঁধে ফেললো। আমার কিছু করার থাকলো না। আমরা যারা ফেসবুকের বাসিন্দা তারা খুব ভাল করেই জানি- কত উপন্যাসের মধ্য দিয়ে যেতে হয় এই সামাজিক নেটওয়ার্কে। আমরা যখন বই পড়ি তখন পেজ বাই পেজ পড়ি। আর যখন ফেসবুক পড়ি তখন ফেস বাই ফেস পড়ি। বাংলায় এর মানে হবে মুখের পর মুখ; পাতার পর পাতা যেমন। তাই এই বইয়ের নাম ফেস বাই ফেস।- মাহবুব মোর্শেদ
গোপনীয়তার মালিকানা ।। হামীম কামরুল হক
_প্রথম প্রকাশ : একুশে বইমেলা ২০১০ ভাষাচিত্র, ৭৬ আজিজ মার্কেট ৩য় তলা শাহবাগ ঢাকা ১০০০ স্বত্ব লেখক প্রচ্ছদ সব্যসাচী হাজরা goponiyotar malikana a novel by hamim kamrul haque ISBN: 984-70347-0049-7 উৎসর্গ শিল্পী দম্পতি কবি অভী চৌধুরী ঝুমুর আহমেদ ও মন্দ্রমধুরাকে_